টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে ঝালকাঠির নিম্নাঞ্চল। এরমধ্যে সুগন্ধা, বিশখালী, গাবখান, হলতা ও ধানসিঁড়ি নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ফুট বেড়েছে। তলিয়ে গেছে শহরের রাস্তা-ঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফ্লোর, বসতবাড়িসহ বাগান ও কৃষিক্ষেত। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
নদী তীরবর্তী এলাকা ও শহর ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে ঝালকাঠি শহরের অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা ও যান চলাচলে বিঘ্ন। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় নদীর পানি ৫ ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ফসলি জমি ও মৌসুমি শাক-সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানের কলাক্ষেত নুয়ে পড়েছে। পুই শাক ও ডাটা শাকসহ শাক-সবজির ক্ষেতগুলোতে সৃজিত ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
এদিকে রাস্তাঘাটে পানি জমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। রিকশা ও অটোচালকরা জীবিকার তাগিদে বের হলেও যাত্রী সংকটে পড়তে হয়েছে তাদের। শহরের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও স্কুল মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বেড়ে তীরবর্তী এলাকাসহ নিচু এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে কৃষিজমি ও বাগান প্লাবিত হচ্ছে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা জানান, নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, এখনো ঝালকাঠি সরাসরি সতর্কতা সংকেতের আওতায় পড়েনি, তবুও আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন